top of page

​অধ্যাপক সাহেবের সরকার... 

Screenshot 2025-07-20 at 9.48.44 PM.png

​গোপালগঞ্জে গভীর রাতে সিসিটিভিতে ধারণকৃত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীদের চিরুনি অভিযানের মূহুর্তে

প্রায় এক বছর হতে চলল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আছেন।

 

একটি বিপ্লব পরবর্তী সরকারের যেমন হবার কথা ছিল সেরকম নোবেলজয়ী অধ্যাপক মুহম্মদ ইউনুসের সরকার হতে পেরেছেন কিনা সেটা বারংবার আলোচনায় ফিরে এসেছে। মনে পড়ে, আগস্ট ৮ এর পরবর্তী সপ্তাহ কয়েকে আমি ব্যক্তিগত বেশ কয়েকজনের সাথে আমার অনুমান এবং ভবিষ্যতবাণীগুলো শেয়ার করেছিলাম। তার অনেকগুলোই খাপে খাপ মিলে গেছে।

 

যাই হোক, কয়েকটা কথা নতুন করে লিখে রাখি। স্রেফ ভবিষ্যতের দিনগুলোর রেফারেন্স হিসেবে। কমেন্ট অংশে আপনাদের যুক্তিগত তর্ক, আলোচনা, সমালোচনা স্বাগতম রইলো। তবে যেকোনোপ্রকার গালিগালাজ, বাজে কথা বলা থেকে বিরত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ। একইসাথে বলে নিচ্ছি, এগুলো একজন সংবাদকর্মী হিসেবে আমার ব্যক্তিগত বুঝ। এটা কোনভাবেই আমার চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের সম্পাদকীয় অবস্থান নয়ঃ –

 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের হাত ধরে আসা একজন নোবেলজয়ীর সরকারের সর্বপ্রথম ম্যান্ডেট হওয়া উচিত ছিল বৈষম্য ঠেকাও। সরকার সেখানে বিসমিল্লাহতেই গলদ করে ফেলেছেন। আশেপাশে নিজেদের ইচ্ছামতন এমন সব মানুষজন দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো ঠেসে ফেলেছেন যে সমালোচকেরা চাইলেই নেপোটিজমের অভিযোগ তুলে কথা বলতেই পারেন। তাতে, ব্যক্তিগতভাবে, আমি অতটা সমস্যা দেখি না। এরকম ভয়ংকর জরুরি সময়ে হাতের কাছে বিশ্বস্ত লোক রাখাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।

 

কিন্তু সমস্যাটা আবার জেঁকে বসে, যখন সেই 'বিশ্বস্ত' মানুষেরা তাঁদেরকে সোপর্দ করা কাজগুলো করার জন্য যথেষ্ট যোগ্য হন না। গুরুত্বপূর্ণ পদে বসা লোক অযোগ্য প্রমাণ হলে সরকারের উচিত সাথে সাথে তাঁর পরিবর্তন খুঁজে বের করা। সেরকম একটা উদাহরণও আমরা দেখেছি বলে আমার মনে পড়ে না। বৈষম্যবিরোধী সরকার শুরু থেকেই একটা ভীষণ বৈষম্য তৈরির উদাহরণ সৃষ্টি করলো।

 

নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার বিবিধ পদে পূর্ববর্তী সরকারের লোক সরিয়ে যাদেরকে বসানো হল, তাঁরা প্রত্যেকেই অন্য দুইটি মেজর রাজনৈতিক দলের পছন্দের লোকজনসমূহ। বিভিন্নরকম সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে বারংবার। সেসব সংস্কার কাদের দিয়ে করানোর চেষ্টা করা হচ্ছে? আবারও সেই রাজনৈতিক পরিচয়ের গণ্ডিতে আবদ্ধ মানুষগুলো দিয়ে।

 

যেসব ওয়াচডগ সংস্থার স্বাধীনভাবে কাজ করার কথা দুর্নীতি দমনে, সেখানে বসানো হয়েছে সেই যাদের দুর্নীতি ইনভেস্টিগেট করবে, তাঁদেরই প্রতিনিধি। সংস্কার কমিশনের কতগুলো কাজ সঠিকগতিতে এগুচ্ছে? প্রশ্ন তুললেই বলা হয় 'একবছর যথেষ্ট সময় নয়...'

 

কিন্তু ভাই! এটা ত নির্বাচন দ্বারা স্বতঃসিদ্ধ সরকার নয়! এ ত জরুরি সময়ের সরকার! এখানে যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তাঁরা তাঁদের ফিল্ডে একেকজন রাজা রাণী! তাঁরা পারছেন না কেন?? উত্তরটাও দিয়ে দিইঃ কারণ, সরকার চালাতে চোর হোক, ডাকাত হোক, রাজনৈতিক দল লাগে। রাজনীতিবিদ লাগে। নিপাট ভদ্রলোকের কাজ এসব হাতে চুনকালি মাখা নয়।

 

আবার যক্ষুনি সংস্কারে ব্যাঘাত ঘটছে, বিবিধ রাজনৈতিক দলগুলো ঝাঁপিয়ে পড়ছে নির্বাচন দাও নির্বাচন দাও দাবি নিয়ে। নির্বাচন দিতে সময় লাগে। নির্বাচন কমিশনের কাছে দায়ভার হস্তান্তর, নির্বাচনী ইস্তেহার, প্রচারণা আরও কত কি! সে নিয়েও সরকার ব্যাপক বিপাকে। আবার গুজব বাতাসে ওড়ে, সরকারের অনেকেই নাকি বিবিধ রাজনৈতিক দলের সাথে হাত মেলাচ্ছেন ভবিষ্যৎ রক্ষার্থে। সেসব কথার যদি দশভাগও সত্য হয়, তাহলেই ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা (!) প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে যায়।

​দেশে ত দালালি করার জন্য শাস্তি প্রদানের কোন স্বতঃসিদ্ধ আইন নেই। সরকার বা যেকোনো দলের দালালি করা সামাজিকভাবে দৃষ্টিকটু হলেও তা কোন অপরাধ নয়। সাংবাদিক ফারজানা রূপা, তাঁর স্বামী শাকিল আহমেদসহ অন্তত চারজন সাংবাদিক কারাগারে। অপরাধ? মূল অপরাধ আওয়ামী দালালি। কিন্তু এন্টি সাইকোফ্যান্সি আইন যেহেতু নেই, তাই তাঁদের আটকে রাখা হয়েছে হত্যা মামলায়। তাও একাধিক। প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি আগেও ছিল। এখনো আছে। কিন্তু অধ্যাপক সাহেব তা নিয়ে কি করেছেন?  

 

গত বছর বহু দফা দাবি থেকে যখন এক দফা দাবিতে রাজপথ ফুঁসে উঠলো, সেই যে ট্রানজিশানটা… বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) নামক যে ছাত্রদের রাজনৈতিক দলের জেগে ওঠা… এটাকে এখন আমরা সবাইই কমবেশি বীরত্বের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখি। কারণ? বিগত ১৫-১৬ বছরে আমরা ছিলাম একজন একনায়কের ছত্রচ্ছায়ায়। যিনি নিজেকে দেশের রাজকুমারী মনে করতেন। যিনি ছিলেন তাঁর পরিবার হারানোর ট্রমায় আক্রান্ত একজন ব্যক্তি যিনি মনের সেই ক্ষতের ঝাল মেটাতে বারংবার বাংলাদেশিদের ওপর চড়াও হয়েছেন। অনেক উদাহরণ আছে… একটু ভেবে দেখেন।

 

সেই জীবন্ত বন্দি দশা থেকে মুক্তিলাভের জন্য আমরা এসব ছাত্রদের বাহবা দেই। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখেন। অথবা ভাবতেও হবে না, এসব কথা ত ওঁ রেকর্ডেই বলা হয়েছে 'অমুক হলেন মাসটারমাইন্ড, তমুক হচ্ছেন দ্য আল্টিমেট গুটীবাজ!' বিসিএস চাকরিপ্রার্থী থেকে একনায়কের এক গালাগালে তাঁরা পরবর্তী প্রজন্মের রাজনীতিবিদ হয়ে উঠলেন।

 

সেটাও ভালো কথা। রাজনীতির অধিকার সবার আছে। এবার বলি, ডঃ ইউনুসের সরকারের কথা। তিনি প্রথম দিনেই এমন কিছু একটা বলেছিলেন যে, ছাত্ররা তাঁকে ধরল, যে তিনি না করতে পারলেন না। সেটাও মেনে নিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে এই এনসিপি'র বিবিধ কার্যাবলীতে বারংবার সরকার লজ্জা পেতে থাকলেন। আলাব্বু, লজ্জাটা তাঁরা পেলেন না। গলধঃকরণ করে ফেলতে থাকলেন। এনসিপি কি নতুন একটি রাজনৈতিক দল নাকি অন্তর্বর্তীকালীন-নিরপেক্ষ সরকারের পক্ষাধীন ফ্রন্ট তা বোঝা মুশকিল হয়ে গেলো। এরকম পুনঃসংঘটিত ঘটনা কিন্তু বারংবার হতে থাকলো। এবং সরকার কেবল তাঁদের পক্ষে একরকম সাফাইই গাইতে লাগলো।

 

এহেন ঘটনা প্রচণ্ড চোখে পড়ে। এনসিপিতে সহসা যোগ দেবেন, যদিও সে বিষয়ে ভীষণ গড়িমসি করনেওয়ালা এক তরুণ ছাত্র উপদেষ্টা 'ধরা' খেলেন বিমানবন্দরে… সাথে তাঁর বন্দুকের গুলির ম্যাগাজিন। দুঃখিত, ধরা হয়তো বলা উচিত হবে না। কারণ তিনি বলেছেন 'ভুলে' সাথে ম্যাগাজিন রয়ে গেছে। তাঁর বাবাকে নিয়ে প্রতিনিয়ত মুখরোচক সব গল্প আসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

 

এছাড়াও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র নেতৃবৃন্দের 'সরব' উপস্থিতি প্রায় প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে। হাসিনার চোর পিয়ন ১৬ বছরে মেরেছে নাকি ৪০০ কোটি। এরকম ছাত্র প্রতিনিধিদের নামে ১০ মাসেই ৩২০ কোটি টাকার অভিযোগ উঠে এসেছে। বাঙ্গালি সুযোগের অভাবে সৎ। কথাটা যেন দারুণ সত্য। কই সরকার এ বিষয়ে কি বলেছেন?

একজন দারুণ প্রতিভাবান ব্যাংকারকে বর্তমান সরকার দেশে নিয়ে আসলেন। তাঁর বুদ্ধিতে হল ইনভেস্টমেন্ট সামিট। সে কি বাহবা বাবা রে বাবা!! সেখানে কতশত মানুষের আগমন! হাজার লক্ষ কোটি ডলার ইনভেস্ট হয়ে যায় যায়! অথচ সেখানে এমনসব মানুষকেও দেখা গেলো, ইনভেস্টর সেজে এসে এমনকি টিভি ইন্টারভিউও দিচ্ছে, যে একসময়কার কুখ্যাত সেভেন স্টার গ্রুপের সন্ত্রাসী ছিল এবং ছিল একজন মডেল হত্যার প্রধান আসামী।

 

পরবর্তীতে আরেকদফা সাফাই গাওয়া হল… ইনভেস্টমেন্ট কি একদিনেই হয়? না ভাই হয় না! কিন্তু কয়টা মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং সই করেছেন সেই সামিট পরবর্তী সময়ে??? আমাদের গোল্ডফিশ মেমোরি সহজে ভুলে যাই। নতুন ইস্যু আসলেই… ব্যস।

 

আইন শৃঙ্খলা রক্ষা সম্পর্কে কথা বলতেই ইদানীং বেশ হাসি পায়। ৫ আগস্টে জেল ভেঙ্গে বা ভাঙ্গিয়ে বহু সন্ত্রাসী বেরিয়ে গিয়েছিলো দিনের আলোতে। সুইডেন আসলামের মতন ভয়ংকর মানুষগুলোও ছাড়া পায় জেল থেকে।রূপগঞ্জের মাফিয়া, কথিত ক্যাসিনো সম্রাট সেলিম প্রধান রাজধানীর অভিজাততম এলাকায় কফি 'লাউঞ্জ' খোলেন যেখানে কি কি যে হয় বলে কথিত আছে, সেখানকার বাসিন্দাদের মুখ থেকে শুনে বিশ্বাসও হতে চায় না। সেই মাফিয়া আবার পার্টিও খুলেছেন।

 

আবার বাটপার ডেস্টিনির কথা মনে আছে সবার? তাঁরাও নাকি রাজনীতিতে এসেছেন। রাস্তায় পুলিশ বলতে গেলে নাইই। আছে কিছু কুর্তাপরা ছাত্র ভলান্টিয়ার যাদের কথা দেশী টেসলারাও শোনে না। সশস্ত্র বাহিনীকে নামিয়ে রেখেছেন ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দিয়ে আজ এক বছর হতে চলল। তাঁদের মধ্যেও তিতিবিরক্তি। বাহিনীতে এসেছিলেন দেশের জন্য যুদ্ধ করতে। এসে ঠেঙ্গাচ্ছেন চোর ছ্যাঁচোড় ছিনতাইকারী।

 

আদর পেলে বাঁদরটাও মাথায় উঠে নাচে – কথিত আছে। সাম্প্রতিক সময়ে এরকম এক দল গেলো শেখ হাসিনার জন্মভূমি গোপালগঞ্জে। সেখানে শায়িত আছেন বাংলাদেশের ১৯৭১ সালের যুদ্ধের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাঁর সমাধি সেখানে। স্বাধীনতা পরবর্তী শেখ মুজিব ও তাঁর বাকশাল নিয়ে হাজারটা সমালোচনা করা সম্ভব। কারণ মানুষ মরে গেলে পচে যায়। বেঁচে থাকলে বদলায়। কারণে অকারণে বদলায়। প্রমথ চৌধুরীর এই অমর কথাটা প্রচণ্ড সত্য। তাঁর ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা ঠিক তাই। বাকশালের ভুলের দায় যেমন শাসক শেখ মুজিবের, তেমনি পূর্ব পাকিস্তান বাংলাদেশ করার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের ক্রেডিটও তাঁর।

 

এই বিতর্কে কোনও ভিন্ন যুক্তি খাটে না। হাসিনা তাঁর ১৫ বছরে বঙ্গবন্ধুকে বারংবার হাসির পাত্রে পরিণত করেছিলেন। যার কারণে বিশাল অংশ জেন-জি'র কাছেও শেখ মুজিব এক অপ্রিয় পাত্রে পরিণত হন। ত, সেই গোপালগঞ্জে গিয়ে এনসিপি নেতৃবৃন্দ যখন মুজিবকে নিয়ে মুর্দাবাদ স্লোগান দিতে থাকে (সেটা তাঁরা দিতেই পারে, ফ্রিডম অফ এক্সপ্রেসান যদি সত্য হয়ে থাকে, সেক্ষেত্রে তাতে কোন সমস্যা নেই) কিন্তু ভুলে যায় যে তাঁরা একটি রেড জোনে আছে, বিপদ অবশ্যম্ভাবী।

 

স্পেনের বুলফাইট বা ষাঁড়ের লড়াই যারা দেখেছেন, তাঁরা জানেন। ম্যাটাডর বা খেলোয়াড় যখন ঐ মাঠের মধ্যে প্রবেশ করেন, মৃত্যু পরোয়ানা মাথায় নিয়েই কিন্তু তিনি সেখানে ঢোকেন। কারণ তিনি জানেন, ষাঁড়কে সামলানোর অভিজ্ঞতা তাঁর রয়েছে।

 

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে এনসিপি যে তপ্ত আগুনে ঘি ঢালার মতন কমন সেন্স বিহীন কাজটা করলো… এরপরে আওয়ামী ক্যাডাররা যে তাঁদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করলো… এরপরে যে সেনাবাহিনী ও পুলিশ লেথাল উইপ্যন দিয়ে আওয়ামী সমর্থক তথা স্থানীয়দের ওপর গুলিবর্ষণ করলো… এই যে পাঁচটা মানুষ বেঘোরে মরে গেলো… এনসিপি নেতারা বুলেটপ্রুফ আর্মারড ক্যারিয়ারে করে স্থানত্যাগ করলো…

 

আবার এই ঘটনায় একজন তাঁদেরই সেই বন্ধু উপদেষ্টা যার স্বরাষ্ট মন্ত্রণালয়ে কোন দায়িত্ব নেই, সে একটা চরম বেয়াদবি করে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিলো… এই সমস্ত ব্যাপারটাকে একসুতায় গেঁথে নিলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ইমেজটা কোন দিকে যায়?? হাসিনার হাতে যদি জুলাই আগস্টের ১,৪০০++ লাশের রক্ত লেগে থাকে, তবে এই পাঁচটা লাশের রক্ত মুহম্মদ ইউনুসের হাতে। একটা খুনও খুন। লক্ষ খুনও খুন।

 

এই আদর আর কতক্ষণ কন্টিনিউ হবে কে জানে! ইউনুস সাহেব কি এখন পর্যন্ত একটা পাবলিক বক্তব্য দিয়েছেন এই বিষয়ে? ১৪৪ ধারা, কারফিউ জারি করে গোপালগঞ্জে ইচ্ছামতন ছেলেপুলেদের বরং হয়রানি করে বেড়াচ্ছে তাঁর প্রশাসন। তবে কি গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের বাইরের একটা স্থান?? আরও অনেক কথা বলার ছিল। কিন্তু লিখে গেলে বই লেখা হয়ে যাবে। শেষ কথা দিয়ে শেষ করি।

 

যত দিন যাচ্ছে, সরকারের বিবিধ কিছু নিয়ন্ত্রণের হাত ক্রমশ দুর্বল হয়ে আসছে। আমি একটা কথা শুরুতেই বলেছিলাম অনেককে – এটা একটি হলিডে মোড সরকার। বেশ একটা পিকনিক পিকনিক ভাব নিয়ে এ সরকারের যাত্রা এবং এখনো সেটা চলছে। কিন্তু একটা জিনিস কি আপনারা বোঝেন? আপনারা যত লাগামছাড়া চলবেন, তত বেশি বিগতকালের বিতাড়িত ফ্যাসিস্ট শক্তিশালী হবে??? এবং তাঁরা যদি কাউণ্টার স্ট্রাইকও করে বসে, অন্তত আমি খুব একটা অবাক হবো না। কারণ ক্ষেত্রটা আপনাদেরই ভুলের কারণে প্রস্তুত হয়ে আছে।

 

সাম্প্রতিক সময়ে দীর্ঘ সময় ধরে আড্ডা দেয়া একজন ঢাকা বিশ্ববিদল্যালয়ের অধ্যাপকের ভাষায়, ন্যাসটি (Nasty) পলিটিক্সকে ফিরে আসতে দেয়া যাবে না কোনভাবেই। তাহলেই আমরা ১৯৯১ এর পুনরাবৃত্তি দেখতে পাবো, যেই ধারায় আসবে ২০০১, ২০০৭, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪। –

 

স্যাম জাহান, সাংবাদিক

২০ জুলাই ২০২৫ ইং

 

[ডিসক্লেইমারঃ একান্ত ব্যক্তিগত মতামত। ভিন্নমত, গঠনমূলক আলোচনা, কমেন্ট, সমালোচনা স্বাগতম। গালিগালাজ পরিহারযোগ্য এবং বাজে ভাষা ব্যবহার করলে সেই কমেন্ট মুছে দেয়া হবে]

© SAM JAHAN | 2025 | DHAKA, BANGLADESH

* All contents in this website are copyrighted materials. Please don't imitate or copy these without prior permission.

bottom of page